মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
আজ রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায়। রাষ্ট্রপক্ষ চায় একমাত্র আসামি মজনুর সর্বোচ্চ সাজা। এই মামলার রায় মাত্র ১৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে ঘোষিত হতে যাচ্ছে।
গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কুর্মিটোলায় এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় ভুক্তভোগীকে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা, বিচার দাবিতে রাজপথে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ভুক্তভোগীর মোবাইল বিক্রির সূত্র ধরে মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ১৬ জানুয়ারি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি মজনু। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে। ১৬ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে, ২৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালতে বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালীন আদালতে বিভিন্ন সময় অদ্ভূত আর নেতিবাচক আচরণ করে আসামি মজনু। যার মধ্যে ছিলো সাক্ষ্য দিতে আসা ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের বিরক্ত করা, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হইচই করা, আদালত প্রাঙ্গণে হঠাৎ কান্নাজুড়ে দিয়ে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া কিংবা গ্রামের বাড়িতে যেতে দেয়ার আবদারও।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, ‘এই মামলাটা আসলে সন্দেহাতীতভাবে আমরা রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আদালতের কাছে এই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। মজনু কিছু ঘটনার মাধ্যমে এখানে সমস্যা সৃষ্টি করে সে যে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত এটা থেকে বের হয়ে আসছে।’
আদালতে ভুক্তভোগীর আসামি মজনুকে চিহ্নিত করে সাক্ষ্য দেয়া, অপরাধ স্বীকার করে মজনুর জবানবন্দি আর ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণসহ নানা আলামতের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রত্যাশা রায়ে মজনুকে দেয়া হবে সবোর্চ্চ সাজা।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।