মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন। তবে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আদালত চাইলে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিতে পারেন।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ভার্চুয়াল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন ।
খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী শিশির মনির আসামি পক্ষে যুক্ত ছিলেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত। তবে বিচারিক (নিম্ন) আদালত যদি ৩০ বছরের সাজা দেন সেক্ষেত্রে ৪৫, ৫৩ এবং ৫৫ ও ৫৭ এই ধারাগুলা একসঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু ৩০ বছরের সাজার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো সুবিধা পাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সাভারে জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। হাইকোর্টে আপিলের পর বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল থাকে।
এর বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আপিল বিভাগ ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস’ এমন মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এ মামলার ৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। পরে আতাউর রহমান মৃধার আইনজীবী ওই রায়ের রিভিউর কথা ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সাংবাদিকদের জানান।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শেষে রিভিউ আবেদনটির রায় (সিএভি) গত বছর ১১ জুলাই অপেক্ষমাণ রাখেন। তার আগে রিভিউ শুনানিতে পাঁচ অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শোনেন সর্বোচ্চ আদালত।
তারা হলেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন , এএফ হাসান আরিফ, মুনসুরুল হক চৌধুরী, আবদুর রেজাক খান ও রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।