মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অফশোর ব্যাংকিংয়ের নামে ২৩৬ কোটি টাকা দুবাই ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে মামলা হচ্ছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের করবেন। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এতে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম আহমেদ চৌধুরী এবং পরিচালনা পর্ষদ ও ক্রেডিট কমিটির কয়েকজন সদস্যকে আসামি করা হচ্ছে।
মামলায় যাদের আসামি করা হচ্ছে, তারা হলেন-চট্টগ্রামের এএনএম তায়েবুর রশিদ, চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার সাবেক হেড অব ও বিও বর্তমানে ভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার খাতুনগঞ্জ শাখা মো. লোকমান হোসেন, চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার সাবেক এসএভিপি মো. শাহজাহান, সাবেক পিও মো. আরিফ নেওয়াজ, বিজনেস ডিভিশনের এভিপি কাজী আশিকুর রহমান, সাবেক ইভিপি কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম এবং সদস্য ক্রেডিট কমিটি সালমা আক্তার, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অব আইসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অ্যান্ড হেড অব আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ, ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট কমিটি মশিউর রহমান চৌধুরী এবং ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব অপারেশন্স সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় আরও আছে সাবেক পরিচালক এমএ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বিবি সাহা রায় ও মো. মেজবাউল হক।
জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আসামিরা অফশোর ব্যাংকিংয়ের নামে এই টাকা ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করে। এরপর ডলারের মাধ্যমে তা দুবাই ও সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়। দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এ বিষয়টির সত্যতা মিলেছে।
এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা পাচারের মামলায় ২৩ জন, ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২৩ জন এবং ১৪ কোটি ৮৮ লাখ পাচারের আরেক মামলায় ২১ জনকে আসামি করা হচ্ছে।
আরব আমিরাতের সেমাট সিটি জেনারেল ট্রেডিং, সিঙ্গাপুরের এটিজেড কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেড ও ইউরোকারস হোল্ডিংস পিটিই লিমিটেডের নামে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের জন্য এসব অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছাড় করা হয়।
অনুসন্ধানে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকিং হিসাব খোলার আগেই ঋণ অনুমোদন হয়েছে। এ পুরো কার্যক্রমে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সায় ছিল। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এরকম একটি ছক তৈরি করা হয়।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।