মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির (২৪) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় বড় মেয়ে মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় গলে সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শিক্ষার্থী তিন্নির ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তিন্নি আত্মহত্যা করেছেন জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার।
উল্লেখ্য, বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল স্ত্রীকে আবারো ফিরিয়ে নিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের বাড়িতে লোকজন নিয়ে আসে এবং তারা বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এসময় তিন্নি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছিল। ভাংচুরের সময় বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে জামিরুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তিন্নির কোন সাড়া না পেয়ে দ্বিতীয় তলায় তার রুমের ভেতর থেকে লাগানো দরজা ভেঙ্গে তারা তিন্নিকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।