মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
সমাজের অর্ধেকই নারী। তারা যদি সমবায়ে বেশি করে এগিয়ে আসেন, তাহলে কমবে দুর্নীতি। কাজ বেশি হবে। প্রত্যেক পরিবার উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সমবায় কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ‘৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২০’ ও ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৯ প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে সমবায় সমিতির মোট সদস্যের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ নারী। এই কার্যক্রমে বেশি করে নারীদের এগিয়ে আসা উচিত।’
দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘যদি বহুমুখী গ্রাম সমবায় গড়ে তুলতে পারি, তাহলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। এর মাধ্যমে দারিদ্র্য সম্পূর্ণ নির্মূল হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাধ্যতামূলক বহুমুখী সমবায়ের কথা বলেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা জানতেন, কিভাবে বাংলাদেশের উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি ও সমবায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে সমিতির সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৪টি। আর সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৭ জনে উন্নীত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ঋণের সুবিধার জন্য যাতে কাউকে দেশান্তরিত হতে না হয়, সেজন্য ক্ষুদ্র ঋণ ও সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করেছে সরকার। কোন জায়গা যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে নজর দেয়ারও আহবান জানান প্রধানমন্ত্রীর।
এছাড়াও ইতোমধ্যে ‘আমার বাড়ি-আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় ১০টি গ্রামে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ বছর ১০টি সমবায় সংগঠনকে দেয়া হয়েছে এ পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু প্রমুখ।
এ সময় দেশের সমবায় খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রচারিত হয়। এসময় সমবায় অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘সমবায়ের সাফল্য গাঁথা’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: বাসস
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।