মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
বৈষ্ণিক মহামারি করোনায় বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ২০২১ সালে সাড়ে ২৩ কোটি মানুষের জরুরি মানবিক সাহায্য প্রয়োজন হবে। এ জন্য জাতিসংঘের সাড়ে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্ক লোকক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী বছর যাদের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে তারা সবাই যদি একটি দেশে বাস করতেন তা হলে সেটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হতো।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
লোকক বলেন, আমরা সবসময়ই হতদরিদ্র ওইসব মানুষের দুই-তৃতীয়াংশের কাছে পৌঁছাতে চাই। বাকি যারা থেকে যাচ্ছে, তাদের রেড ক্রসের মতো অন্য দাতব্য সংস্থা সহায়তার চেষ্টা করবে, যাতে সেই শূন্যতা পূরণ করা যায়।
তিনি জানান, এ বছর দাতা দেশগুলো রেকর্ড ১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে, যা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তবে লোকক বলেন, তিন হাজার ৫০০ কোটি (৩৫ বিলিয়ন) ডলারের একটি বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রায়োজন আমাদের ২০২১ সালের জন্য। কিন্তু মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে যে পরিমাণ ব্যয় করছে, এই অর্থ তার তুলনায় খুবই সামান্য। এই মহামারী বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির ও সবচেয়ে ভঙ্গুর দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
জাতিসংঘ ৩৪টি পরিকল্পনা করেছে ২০২১ সালে বিশ্বের ৫৬ দেশে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য। ১৬ কোটি মানুষের কাছে এর মাধ্যমে সংস্থাটি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চায়।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।