মুক্তকণ্ঠ২৪ ডেস্ক:
সরকারকে এবার ফি দিতে হবে সিলেটের রাতারগুলে প্রবেশ, ভিডিও ধারণ ও নৌকা ভ্রমণের জন্য।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, রাতারগুল বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, অপ্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছরের নিচে) ও পরিচয়পত্রধারী ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ ফি ২৫ টাকা। বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা।
প্রতিদিনের ফিল্মমিং ফি (প্রতি ক্যামেরা) ১০ হাজার টাকা।
দেশি দর্শনার্থীদের প্রতিবার নৌকা (ইঞ্জিনবিহীন) ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিদের দিতে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া বাস বা ট্রাকের প্রতিবারের পার্কিং ফি ২০০ টাকা। পিকআপ/জিপ/কার/মাইক্রোবাস পার্কিং ফি ১০০ টাকা এবং সিএনজি/মোটরসাইকেল পার্কিং ফি ২৫ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এই ফি নির্ধারণ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত।বনের দক্ষিণ দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর: শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর।সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার।
চিরসবুজ এই বন গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং চেঙ্গির খালের সাথে সংযুক্ত। এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Millettia pinnata)। বর্ষাকালে এই বন ২০–৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারা বছর, পানির উচ্চতা ১০ ফুটের মতো থাকে।বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। তারপর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়ে-চলা পথ। আর তখন পানির আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বিলগুলোতে। সেখানেই আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণীকুল।
এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। এই বনকে বাংলাদেশ সরকারের বনবিভাগের অধীনে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।