লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শনিবার রাতে পাটগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এ নিয়ে গ্রেপ্তার ২৯।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি মাইনুল ইসলাম, হত্যা মামলার আসামি হাসানুর রহমান, আব্দুর রহিম ও সোহেল রানা।
এর আগে শনিবার ভোরে এ মামলার এক নম্বর আসামি আবুল হোসেনকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হতে পারে।
কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার দায়ে নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার দায়ে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী বাদী হয়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের দায়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেন বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত।
বহুল আলোচিত তিনটি মামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ তিন মামলায় দুই দফায় মসজিদের খাদেমসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯শে অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব রটিয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে গণপিটুনি দিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে।গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।
নিয়মিত সকল সংবাদ পেতে মুক্তকন্ঠ২৪.কম এর ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন।