চন্দ্রগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে একটি ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় তিন ইউনিয়নের পাচঁ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটছে প্রায় ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের।
লক্ষ্মীপুর সদরের তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ ব্রীজ ছিল এটি। রাজাপুর, খাগুড়িয়া, দিঘলী, দক্ষিণ নুরুল্লাপুর, সাঙ্কি ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা জেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম হিসেবে নুরুল্লাপুর সড়কের এই ব্রীজটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
এ ব্রীজ দিয়ে জনতা ডিগ্রী কলেজ, নুরুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরুল্লাপুর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় ও খাগুড়িয়া মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর ওয়াপদা খালের ওপর পাকা এ ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকির মাঝে ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজটি দিয়েই যানচলাচলসহ যাতায়াত করতো কয়েক গ্রামের মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলি অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন নির্মাণ করা হয় এ সেতু। দীর্ঘ বছর ধরে খালের পানির তোড়ে ধীরে ধীরে সেতুটির নিচের মাটি সরে গিয়ে হুমকির মুখে পড়ে সেতুটি। গত শুক্রবার হঠাৎ সেতুটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। নুরুল্লাপুর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তকন্ঠ২৪ কে জানান, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অতিদ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা না হলে স্থানীয়দের ভোগান্তির কমতি থাকবে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলি অধিদপ্তরের লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলি একেএম রশিদ আহমদ জানান, পানির প্রবল প্রবাহে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভোগান্তি কাটিয়ে তুলতে বিকল্প সেতু নির্মাণসহ প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।